স্টাফ রিপোর্টার::
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই সুনামগঞ্জ শহরের বুক চিরে প্রবাহিত সুরমা নদীতে শুরু হয় এক দৃশ্যপট- আলোকজ্জ্বল নৌযান, শব্দ করা ‘জাদু মেশিন’, আর একের পর এক ট্রাকে করে নদীর তীরে জমা হয় বালু ও পাথর। স্থানীয়রা একে ব্যঙ্গ করে ডাকেন ‘জ্বীনপরীর লীলাখেলা’। সরকারি অনুমতি ছাড়াই সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধোপাজান-চলতি নদী ও আশপাশের এলাকা থেকে রাতভর চলছে বালু-পাথর লুট। এসব মূল্যবান স¤পদ ট্রাকে করে এনে ভাইব্রেটার মেশিনে ফেলে বড় বড় বাল্কহেডের মাধ্যমে নদীপথে পাচার করা হচ্ছে। এই অবৈধ কার্যক্রম চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
সরেজমিনে গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতভর সুরমা নদী তীরের ডলুরা, হালুয়ারঘাট ও মইনপুর এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্য ট্রাকে বালু ও পাথর এনে নদীতীরে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। পরে সেগুলো নদীপথে পাচার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, যার পেছনে রয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের অদৃশ্য সমর্থন। স্থানীয় বাসিন্দা নিয়াকত আলী জানান, রাত হলেই সড়কে অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে। শব্দে রাতে ঘুমাতে পারি না। কারা এই বালু-পাথর আনছে তা প্রকাশ করলে বিপদ হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাকশ্রমিক বলেন, আমরা কামলা মানুষ। টাকা দিয়ে বালু আনি, নদীতীরে রাখি, পরে সেগুলো নৌকায় ভরে নিয়ে যায়। তবে কারা এই লুট চালাচ্ছে - এই প্রশ্নের উত্তরে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জাকির হোসেনবলেন, বালু-পাথরের বিষয়গুলো জেলা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তারপরও সড়ক পথে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। যদি সেগুলো অবৈধ হয় তাহলে পুলিশ সেগুলো আটকাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন বলেন, বালুপাথর লুট বন্ধে প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
ধোপাজানে থেমে নেই বালু-পাথর লুটপাট
- আপলোড সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০৭:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০৮:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ